বর্ষাকালে ঢাকার বাতাসের মানে বরাবরই উন্নতি দেখা যায়। গত কয়েকদিনে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে ঝড়েছে অনবরত বৃষ্টি। এতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গেছে। তবে এখনও ভালো হয়ে উঠতে পারেনি বাতাস। আজ সকালে বৃষ্টিপাতের পরও ঢাকার বাতাসের ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (২ জুন) সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৯৫, যেখানে এই স্কোর ১০১ এ পৌঁছালেই তা সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে। এই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে ঢাকা।
তবে আজ ইরাকের রাজধানী বাগদাদ যে শুধু দূষিত বাতাসের শীর্ষে অবস্থান করছে তা-নয়। শহরটির বাতাস হয়ে উঠেছে বাসিন্দাদের জন্য ‘বিপজ্জনক’, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে। কারণ বাগদাদদের একিউআই স্কোর দাঁড়িয়েছে ৮৮৮ তে। অন্যদিকে, একই সময়ে সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর হলো থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, যেটির একিউআই স্কোর মাত্র ১১।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে ‘মাঝারি’, আর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি কমতেই ঢাকার বাতাসে দূষণের হানা
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।